যোগীর ভবণ (Jogor Bhobon) গড়ে উঠেছে প্রায় ৮০ একর জায়গার উপর কয়েকটি প্রাচীর ধর্মীয় স্থাপনা সংগঠিত হয়ে বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নে। যোগীর ভবণে পুরো এলাকা প্রাচীর বেষ্টিত এবং একটি দেওয়াল দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত, আনুমানিক ৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে। একটি আশ্রম, ৪টি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইদারা, ধর্মটঙ্গি ও অগ্নিকুন্ড ঘর রয়েছে যোগীর ভবণের প্রাঙ্গণে। দুর্গা, সর্বমঙ্গলা, কালভৈরবী ও গরক্ষনাথ নামের ৪টি মন্দিরের মধ্য ইট ও পোড়ামাটির ফলক দ্বারা অলংকৃত একটু ব্যতিক্রর্মী সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি। যদিও এই মন্দির নির্মাণের কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য জানা যায় নি। বাংলার কিংবদন্তি নায়িকা বেহুলার মৃত স্বামি লক্ষিন্দর এখানকার কানচ কূপে পানির মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়ে ছিলেন।
কিভাবে যাবেন
বগুড়ায় যাওয়া যায় ঢাকা থেকে বাস, ট্রেনও নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায়। মহাখালী থেকে একতা, শাহ ফতেহ আলী এবং রাজধানী ঢাকার গাবতলী, আবদুল্লাহপুর ও কল্যাণপুর থেকে শ্যামলী, এস আর ট্র্যাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেস, হানিফ এন্টার প্রাইজ, মানিক এক্সপ্রেস, নাবিল পরিবহন ও আল হামরা পরিবহনের বাসে। ৪৫০ থেকে ১১০০ টাকা বাস ভেদে ভাড়া পরবে । ট্রেনে লালমনি বা রংপুর এক্সপ্রেসএ বগুড়া যেতে পারবেন ঢাকার কমলাপুর থেকে। যোগীর দুরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার বগুড়া থেকে। যোগীর ভবনে পৌছানো যায়, বগুড়ায় পৌছে সি এন জি বা অটো রিকশায় কোটলাল রোড দিয়ে আপনাকে যেতে হবে।
ঘুরে আসুন- মহাস্থান গড়
কোথায় থাকবেন
বগুড়ায় অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের মধ্য হোটেল নাচ গার্ডেন, সেঞ্চুরি মোটেল, মমইন, হোটেল সিয়েস্তা, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল এবং নর্থওয়ে মোটেল উল্লেখযোগ্য। এগুলো হোটেলে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে যেকোন ক্যটাগরিতে থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
মদিনা হোটেল, কাচা লঙ্কা ও বিসমিল্লাহ ইত্যাদি খাবার হোটেল সহ বেশকিছু চায়ের দোকান নজরে পরবে যোগীর ভবণে যাওয়ার পথে। এছাড়া সাথী হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, অথিতী গার্ডেন রেষ্টেুরেন্ট ,মায়ের দোয়া, চাপ কর্ণার ও হোটেল সাফিনার মতো বেশ কিছু হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট রয়েছে বগুড়া শহরে। সুযোগ বুঝে বগুড়া শহরের বিখ্যাত দইয়ের স্বাদ নিতে ভুল করবেন না।
বগুড়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
মহস্থানগড়, খেরুয়া মসজিদ, গকুল মেধ, রানী ভবানীর পিতৃালয় ও ভীমের জাঙ্গাল উল্লেখযোগ্য বগুড়ায় অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্য।